১. খাবারে লবণ কম খাবেন। লবণ মাথার
ত্বকের কোষে পানি জমে থাকতে সাহায্য
করে। মাথার ত্বকের
কোষে পানি জমে থাকলে চুলের গোড়া নরম
হয়ে অধিক চুল পড়তে সাহায্য করে।
২. ওজন বা মেদ কমানোর জন্য অনেকে হঠাৎ
খাওয়া-দাওয়া, একেবারেই ছেড়ে দেয়। এই
হঠাৎ খাওয়া কমানোতেও চুল পড়ে। এ
ক্ষেত্রে নিউট্রশনিষ্ট
কিংবা ডায়েটিশিয়ানেরপরামর্শ
নেয়া যেতে পারে।
৩. গরীব-মধ্যবিত্তে র চুলের সহায়ক খাবার
হচ্ছে সবুজ শাক-সবজি। সবুজ শাক-সবজির
মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস বা পুষ্টি উপাদান
চুলের জন্য খুব উপকারী। প্রচুর
পরিমাণে আয়রণযুক্ত শাক যেমন, লাল শাক,
কচুশাক খেতে হবে।
তবে সামর্থবানরা আঙ্গুরের রস (গ্রেপ ফ্রুইট
ককটেল), আলু, বাঁধাকপি, মিক্সড সালাদ, কলা,
মুরগির মাংস, ডিম খেতে পারেন।
৪. প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ফলমূল
ও শাকসবজি যেমন- নাশপাতি, বাদাম, গম,
শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সবজি, ডিম প্রভৃতি ও
জলপাই তেল খাবেন।
৫. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান। প্রোটিন
সমৃদ্ধ খাবার শুধু যে চুল শক্ত করে তা নয়, চুল
গজাতেও সহায়তা করে। প্রেটিনের
অভাবে চুলের রঙ প্রথমে নষ্ট হয়ে যায়। চুল
লালচে বাদামি হতে থাকে। পরে চুল
ঝরে যায় এবং চুলের আগা ফাটতে থাকে।
কেরাটিনের অভাবে চুল ফেটে যায়। খাদ্য
তালিকায় মাছ, গোশত, ডিম, দুধ, ডাল, দই,
পনির ইত্যাদি থাকা জরুরি।
৬. অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবার
যেমন- আইসক্রিম, পেস্ট্রি কেক, লবণ,
ফাস্টফুড, জাংক ফুড, চিনি, পশুর চর্বি,
বাটার, ক্রিম, অধিক চর্বিযুক্ত চিজ, হুয়াইট
ব্রেড ও ময়দা, ভাজা ও প্রক্রিয়াজাত
খাবার, চকলেট এবং হোল মিল্ক, কার্বনেটেড
ড্রিঙ্কস ইত্যাদি পরিহার করুন। অতিরিক্ত
চা বা কফি পান করবেন না।
চা বা কফিতে ক্যাফেইন থাকে যা সকল
প্রকার চুল ও স্কিনের সমস্যার জন্য দায়ী।
৭. ওমেগা- থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড চুল
পড়া রোধে খুব কার্যকর। প্রচুর
পরিমাণে ওমেগা-থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড
তিসির তেলে পাওয়া যায়। প্রতিদিন ২
চা চামচ তিসির তেল সালাদের
সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।
৮. নতুন চুল গজাতে প্রতিদিন রাতে শোয়ার
আগে অন্তত পাঁচ মিনিট ১০-১৫ মিনিট
চুলের ম্যাসাজ করুন। কোকোনাট
কিংবা এলমন্ড অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করুন।
তেল চুল
গজাতে বা চুলে পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করে না।
তবে তেল ম্যাসাজ করলে স্ক্যালেন্ড রক্ত
সঞ্চালন হয় এবং চুল বাহ্যিকভাবে চকচকে,
মসৃণ হয়।
৯. চুলে অপ্রয়োজনীয় ঘষা-মাঝা, অতিরিক্ত
আচরানো পরিহার করুন। অনেকে চুল খুব ঘন ঘন
আঁচড়ান। এটা ঠিক নয়। খুব বেশি চুল
আঁচড়ানোর ফলে সেবাশিয়াস গ্রন্থি সক্রিয়
হয়ে উঠলে চুল পড়ে। আবার চুল না আঁচড়ানোও
ঠিক নয়। নিন্মমানের চিরুনি বা ব্রাশ
ব্যবহার এবং সঠিকভাবে চুল না আঁচড়ানোর
জন্যও চুল পড়ে।
১০. গরম পানি, ড্রায়ার বা এমন কিছু
ব্যবহার করবেন না যা চুলে অতিরিক্ত চাপ
তৈরি করে। জেল, মুজ, হেয়ার ডাই এসব চুলের
ক্ষতি করে। দীর্ঘ সময় হেলমেট,
টুপি ইত্যাদি পড়ে থাকবেন না। মাথায়
স্কার্ফ ব্যবহার প্রয়োজন না হলে করবেন না।
১১. চুলের সঠিক যত্ন সম্পর্কে না জানার
কারণেও অনেকের চুল পড়ে। প্রচলিত
একটি ধারণা আছে, রাতে শোয়ার আগে টান
টান করে বেণী বেঁধে ঘুমালে চুল
তাড়াতাড়ি লম্বা হয়। এটি সম্পূর্ণ ভুল
ধারণা। এতে চুল ঝরে পড়ে দ্রুত। ভেজা চুল
কখনো আঁচড়াবেন না। তোয়ালে দিয়েও খুব
ঘষে চুল মুছলে চুলের ক্ষতি হয়। ভিজা চুল
কখনো বাঁধবেন না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার
আগে বজ্রাসনে বসে চুল আঁচড়াবেন। এতে চুল
পড়া বন্ধ হবে এবং আপনি মানসিক চাপমুক্ত
হয়ে ঘুমাতেও পারবেন।
১২. প্রতিদিন ১৬-২০ গ্লাস পানি পান
করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে আমরা সচেতন নই।
১৩. যারা প্রতিদিন ঘরের বাইরে বের হন
তাদের এক-দুই দিন অন্তর চুল শ্যাম্পু
করা প্রয়োজন। চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু
ব্যবহার করবেন। বিজ্ঞাপনের চটকে ভুলে ভুল
শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না।
১৪. হিন্দি শব্দ চ্যাম্পু থেকে শ্যাম্পু
এসেছে। এর অর্থ মালিশ বা ম্যাসাজ। এর
মানে বোঝা যায় শ্যাম্পু করার সময় আপনার
মাথা ম্যাসাজ বা ঘষতে হবে। খুশকির জন্য
এ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার
করবেন। তবে দীর্ঘদিন এ্যান্টিড্যানড্ রাফ
শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল রুক্ষ হয়।
১৫. খুশকি দূরীকরণে চুল
ধুয়ে তাতে কিটোকোনাজল ২% শ্যাম্পু
বা ড্যানসেল শ্যম্পু হাতে ঢেলে নিন
এবং দু’হাতে ঘষে নিয়ে তারপর পুরো মাথায়
লাগান। ভালভাবে লাগিয়ে ৫ মিনিট
অপেক্ষা করতে হবে। আঙুলের
ডগা দিয়ে ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু লাগান।
এরপর চুল ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এভাবে সপ্তাহে ২ বার করে ২-৪ সপ্তাহ
ব্যবহারে খুশকি কমে যাবে।
১৬. চুল পড়া রোধের জন্য
বাজারে মিনোক্সিডিল নামের ওষুধ
পাওয়া যায়। এটি যেখান থেকে চুল
পড়ছে সেখানে লাগাতে হবে। এটি নারী ও
পুরুষ উভয়েই ব্যবহার করতে পারেন। এতে কাজ
না হলে অন্য চিকিৎসা নিতে হবে। অন্য
চিকিৎসার মধ্যে আছে লেজার
থেরাপি এলএইচটি, হেয়ার ফলিকল
রিপ্লেসমেন্ট, হেয়ার স্কাল্প রিপ্লেসমেন্ট
ইত্যাদি।
১৭. এছাড়া অতিরিক্ত ডায়েট কন্ট্রোল চুল
পড়ার কারণ হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুমান
এবং বিশ্রাম নিন, কেননা ঘুম ও বিশ্রাম
নতুন চুল গজানো ও বৃদ্ধির
ক্ষেত্রে সহায়তা করে।
১৮. ধুমপান ত্যাগ করুন। ধুমপানের
কারণে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়, রক্ত
নালিকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চুল পড়ে।
১৯. প্রতিদিন একটু করে ব্যায়ম করলে শরীর
ফিট থাকার পাশাপাশি রক্ত সরবরাহ ঠিক
থাকে। যার ফলে চুলও পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়
না।
২০. কিছু ব্যক্তিগত কারণ যেমন হরমোনের
তারতম্য, খারাপ স্বাস্থ্য, বিশ্রামের অভাব
ইত্যাদির প্রভাবও চুলের ওপর পড়তে পারে।
টেনশন, মানসিক যন্ত্রণা ঘুম না হওয়া। সুষম
আহার, চুলের সঠিক
পরিচর্যা এবং প্রয়োজনে কিছু ওষুধের
ব্যবহারে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্ব ল
হয়ে উঠতে পারে।
রাতে অলিভ অয়েল চুলে ম্যাসাজ করে দিন। এরপর
মোটা দাড়ের চিরুনি
দিয়ে কিছুক্ষণ চুল আঁচড়ে নিন। গোসলের আগে গরম
পানিতে তোয়ালে
চুবিয়ে আধা ঘণ্টা চুল পেঁচিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু
করুন।
এতে রক্ত সাঞ্চালন বাড়বে। চুলের রুক্ষভাব কমবে।
ত্বকের কোষে পানি জমে থাকতে সাহায্য
করে। মাথার ত্বকের
কোষে পানি জমে থাকলে চুলের গোড়া নরম
হয়ে অধিক চুল পড়তে সাহায্য করে।
২. ওজন বা মেদ কমানোর জন্য অনেকে হঠাৎ
খাওয়া-দাওয়া, একেবারেই ছেড়ে দেয়। এই
হঠাৎ খাওয়া কমানোতেও চুল পড়ে। এ
ক্ষেত্রে নিউট্রশনিষ্ট
কিংবা ডায়েটিশিয়ানেরপরামর্শ
নেয়া যেতে পারে।
৩. গরীব-মধ্যবিত্তে র চুলের সহায়ক খাবার
হচ্ছে সবুজ শাক-সবজি। সবুজ শাক-সবজির
মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস বা পুষ্টি উপাদান
চুলের জন্য খুব উপকারী। প্রচুর
পরিমাণে আয়রণযুক্ত শাক যেমন, লাল শাক,
কচুশাক খেতে হবে।
তবে সামর্থবানরা আঙ্গুরের রস (গ্রেপ ফ্রুইট
ককটেল), আলু, বাঁধাকপি, মিক্সড সালাদ, কলা,
মুরগির মাংস, ডিম খেতে পারেন।
৪. প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ফলমূল
ও শাকসবজি যেমন- নাশপাতি, বাদাম, গম,
শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সবজি, ডিম প্রভৃতি ও
জলপাই তেল খাবেন।
৫. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান। প্রোটিন
সমৃদ্ধ খাবার শুধু যে চুল শক্ত করে তা নয়, চুল
গজাতেও সহায়তা করে। প্রেটিনের
অভাবে চুলের রঙ প্রথমে নষ্ট হয়ে যায়। চুল
লালচে বাদামি হতে থাকে। পরে চুল
ঝরে যায় এবং চুলের আগা ফাটতে থাকে।
কেরাটিনের অভাবে চুল ফেটে যায়। খাদ্য
তালিকায় মাছ, গোশত, ডিম, দুধ, ডাল, দই,
পনির ইত্যাদি থাকা জরুরি।
৬. অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবার
যেমন- আইসক্রিম, পেস্ট্রি কেক, লবণ,
ফাস্টফুড, জাংক ফুড, চিনি, পশুর চর্বি,
বাটার, ক্রিম, অধিক চর্বিযুক্ত চিজ, হুয়াইট
ব্রেড ও ময়দা, ভাজা ও প্রক্রিয়াজাত
খাবার, চকলেট এবং হোল মিল্ক, কার্বনেটেড
ড্রিঙ্কস ইত্যাদি পরিহার করুন। অতিরিক্ত
চা বা কফি পান করবেন না।
চা বা কফিতে ক্যাফেইন থাকে যা সকল
প্রকার চুল ও স্কিনের সমস্যার জন্য দায়ী।
৭. ওমেগা- থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড চুল
পড়া রোধে খুব কার্যকর। প্রচুর
পরিমাণে ওমেগা-থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড
তিসির তেলে পাওয়া যায়। প্রতিদিন ২
চা চামচ তিসির তেল সালাদের
সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।
৮. নতুন চুল গজাতে প্রতিদিন রাতে শোয়ার
আগে অন্তত পাঁচ মিনিট ১০-১৫ মিনিট
চুলের ম্যাসাজ করুন। কোকোনাট
কিংবা এলমন্ড অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করুন।
তেল চুল
গজাতে বা চুলে পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করে না।
তবে তেল ম্যাসাজ করলে স্ক্যালেন্ড রক্ত
সঞ্চালন হয় এবং চুল বাহ্যিকভাবে চকচকে,
মসৃণ হয়।
৯. চুলে অপ্রয়োজনীয় ঘষা-মাঝা, অতিরিক্ত
আচরানো পরিহার করুন। অনেকে চুল খুব ঘন ঘন
আঁচড়ান। এটা ঠিক নয়। খুব বেশি চুল
আঁচড়ানোর ফলে সেবাশিয়াস গ্রন্থি সক্রিয়
হয়ে উঠলে চুল পড়ে। আবার চুল না আঁচড়ানোও
ঠিক নয়। নিন্মমানের চিরুনি বা ব্রাশ
ব্যবহার এবং সঠিকভাবে চুল না আঁচড়ানোর
জন্যও চুল পড়ে।
১০. গরম পানি, ড্রায়ার বা এমন কিছু
ব্যবহার করবেন না যা চুলে অতিরিক্ত চাপ
তৈরি করে। জেল, মুজ, হেয়ার ডাই এসব চুলের
ক্ষতি করে। দীর্ঘ সময় হেলমেট,
টুপি ইত্যাদি পড়ে থাকবেন না। মাথায়
স্কার্ফ ব্যবহার প্রয়োজন না হলে করবেন না।
১১. চুলের সঠিক যত্ন সম্পর্কে না জানার
কারণেও অনেকের চুল পড়ে। প্রচলিত
একটি ধারণা আছে, রাতে শোয়ার আগে টান
টান করে বেণী বেঁধে ঘুমালে চুল
তাড়াতাড়ি লম্বা হয়। এটি সম্পূর্ণ ভুল
ধারণা। এতে চুল ঝরে পড়ে দ্রুত। ভেজা চুল
কখনো আঁচড়াবেন না। তোয়ালে দিয়েও খুব
ঘষে চুল মুছলে চুলের ক্ষতি হয়। ভিজা চুল
কখনো বাঁধবেন না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার
আগে বজ্রাসনে বসে চুল আঁচড়াবেন। এতে চুল
পড়া বন্ধ হবে এবং আপনি মানসিক চাপমুক্ত
হয়ে ঘুমাতেও পারবেন।
১২. প্রতিদিন ১৬-২০ গ্লাস পানি পান
করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে আমরা সচেতন নই।
১৩. যারা প্রতিদিন ঘরের বাইরে বের হন
তাদের এক-দুই দিন অন্তর চুল শ্যাম্পু
করা প্রয়োজন। চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু
ব্যবহার করবেন। বিজ্ঞাপনের চটকে ভুলে ভুল
শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না।
১৪. হিন্দি শব্দ চ্যাম্পু থেকে শ্যাম্পু
এসেছে। এর অর্থ মালিশ বা ম্যাসাজ। এর
মানে বোঝা যায় শ্যাম্পু করার সময় আপনার
মাথা ম্যাসাজ বা ঘষতে হবে। খুশকির জন্য
এ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার
করবেন। তবে দীর্ঘদিন এ্যান্টিড্যানড্ রাফ
শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল রুক্ষ হয়।
১৫. খুশকি দূরীকরণে চুল
ধুয়ে তাতে কিটোকোনাজল ২% শ্যাম্পু
বা ড্যানসেল শ্যম্পু হাতে ঢেলে নিন
এবং দু’হাতে ঘষে নিয়ে তারপর পুরো মাথায়
লাগান। ভালভাবে লাগিয়ে ৫ মিনিট
অপেক্ষা করতে হবে। আঙুলের
ডগা দিয়ে ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু লাগান।
এরপর চুল ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এভাবে সপ্তাহে ২ বার করে ২-৪ সপ্তাহ
ব্যবহারে খুশকি কমে যাবে।
১৬. চুল পড়া রোধের জন্য
বাজারে মিনোক্সিডিল নামের ওষুধ
পাওয়া যায়। এটি যেখান থেকে চুল
পড়ছে সেখানে লাগাতে হবে। এটি নারী ও
পুরুষ উভয়েই ব্যবহার করতে পারেন। এতে কাজ
না হলে অন্য চিকিৎসা নিতে হবে। অন্য
চিকিৎসার মধ্যে আছে লেজার
থেরাপি এলএইচটি, হেয়ার ফলিকল
রিপ্লেসমেন্ট, হেয়ার স্কাল্প রিপ্লেসমেন্ট
ইত্যাদি।
১৭. এছাড়া অতিরিক্ত ডায়েট কন্ট্রোল চুল
পড়ার কারণ হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুমান
এবং বিশ্রাম নিন, কেননা ঘুম ও বিশ্রাম
নতুন চুল গজানো ও বৃদ্ধির
ক্ষেত্রে সহায়তা করে।
১৮. ধুমপান ত্যাগ করুন। ধুমপানের
কারণে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়, রক্ত
নালিকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চুল পড়ে।
১৯. প্রতিদিন একটু করে ব্যায়ম করলে শরীর
ফিট থাকার পাশাপাশি রক্ত সরবরাহ ঠিক
থাকে। যার ফলে চুলও পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়
না।
২০. কিছু ব্যক্তিগত কারণ যেমন হরমোনের
তারতম্য, খারাপ স্বাস্থ্য, বিশ্রামের অভাব
ইত্যাদির প্রভাবও চুলের ওপর পড়তে পারে।
টেনশন, মানসিক যন্ত্রণা ঘুম না হওয়া। সুষম
আহার, চুলের সঠিক
পরিচর্যা এবং প্রয়োজনে কিছু ওষুধের
ব্যবহারে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্ব ল
হয়ে উঠতে পারে।
রাতে অলিভ অয়েল চুলে ম্যাসাজ করে দিন। এরপর
মোটা দাড়ের চিরুনি
দিয়ে কিছুক্ষণ চুল আঁচড়ে নিন। গোসলের আগে গরম
পানিতে তোয়ালে
চুবিয়ে আধা ঘণ্টা চুল পেঁচিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু
করুন।
এতে রক্ত সাঞ্চালন বাড়বে। চুলের রুক্ষভাব কমবে।
৲৲৲ জেনে নিন চুল পড়া বন্ধের ২০ উপায় ৲৲৲
চুল পড়া সাধারণ একটি বিষয়। পৃথিবীর এক
তৃতীয়াংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। প্রতিদিন
সবার কমপক্ষে ১০০ টিরও বেশি চুল পড়ে থাকে।
তৃতীয়াংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। প্রতিদিন
সবার কমপক্ষে ১০০ টিরও বেশি চুল পড়ে থাকে।
কিন্তু সে পরিমাণে চুল গজায় না। এজন্য অনেকের
মাথায় টাক পড়ে যায়।
তবে চুল পড়ার অন্য কোনো কারণ নেই।
মাথায় টাক পড়ে যায়।
তবে চুল পড়ার অন্য কোনো কারণ নেই।
খাদ্যাভ্যাস, আবহাওয়া, বেশি সময় ধরে হেলমেট ও
ক্যাপ পরা ইত্যাদি চুল পড়ার প্রধান কারণ।
সম্প্রতি একদল গবেষক বলছেন, এসব
কারণকে সহজে এড়িয়ে চলা যায়। তাদের
মতে ২০টি উপায় অবলম্বন করলে চুল পড়া বন্ধ
করা যায়।
ক্যাপ পরা ইত্যাদি চুল পড়ার প্রধান কারণ।
সম্প্রতি একদল গবেষক বলছেন, এসব
কারণকে সহজে এড়িয়ে চলা যায়। তাদের
মতে ২০টি উপায় অবলম্বন করলে চুল পড়া বন্ধ
করা যায়।
১. প্রতিদিন হালকা ভাবে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল
করতে পারেন। তাতে আপনার মাথা পরিষ্কার
থাকবে।
করতে পারেন। তাতে আপনার মাথা পরিষ্কার
থাকবে।
2. শুধু শরীর সুস্থ রাখার জন্যে নয়, চুল পড়া বন্ধের
জন্যেও বেশি বেশি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার
খেতে হবে। এক্ষেত্রে ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘ই’
আছে এমন খাদ্য বেশি সুফল বয়ে আনবে।
জন্যেও বেশি বেশি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার
খেতে হবে। এক্ষেত্রে ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘ই’
আছে এমন খাদ্য বেশি সুফল বয়ে আনবে।
৩. এছাড়া খাবার তালিকায় আমিষ জাতীয় খাদ্যের
পরিমাণ বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে মাছ, মাংস, ডিম ও
দুধ বেশি করে খেতে হবে।
পরিমাণ বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে মাছ, মাংস, ডিম ও
দুধ বেশি করে খেতে হবে।
৪. নিয়মিত প্রয়োজনীয় তেল দিয়ে মাথা ম্যাসেজ
করতে পারেন। তিলের তেল এক্ষেত্রে অনেক
উপকারী।
করতে পারেন। তিলের তেল এক্ষেত্রে অনেক
উপকারী।
৫. পেয়াজ, রসুন ও আদার রস দিয়ে মাথা ম্যাসেজ
করলেও উপকার পাবেন।
করলেও উপকার পাবেন।
৬. তাছাড়া ভেজা চুল আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকুন।
ভেজা চুল আঁচড়ালে বেশি পরিমাণে চুল পড়ে।
ভেজা চুল আঁচড়ালে বেশি পরিমাণে চুল পড়ে।
৭. চুলের গোড়া শক্ত
করতে বেশি পরিমাণে পানি খাওয়া উচিৎ। পানি শুধু
চুলের জন্য নয় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্যেও অত্যাবশ্যকীয় ।
করতে বেশি পরিমাণে পানি খাওয়া উচিৎ। পানি শুধু
চুলের জন্য নয় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্যেও অত্যাবশ্যকীয় ।
৮. সবুজ চা অর্থাৎ চায়ের সবুজ পাতা প্রতিদিন
আপনার মাথায় ঘষলে চুল পড়া বন্ধ হবে।
আপনার মাথায় ঘষলে চুল পড়া বন্ধ হবে।
৯. ভিজা চুল টাওয়েল বা শক্ত কাপড়
দিয়ে কখনো মুছবেন না।
দিয়ে কখনো মুছবেন না।
১০. মদ চুলের প্রধান শত্রু। সব সময় মদ্যপান
থেকে বিরত থাকুন।
থেকে বিরত থাকুন।
১১. ধূমপান শুধু স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর।
সঠিক রক্ত সঞ্চালনের ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করে।
ধূমপানের কারণে অত্যাধিক পরিমাণে চুল পড়ে।
সঠিক রক্ত সঞ্চালনের ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করে।
ধূমপানের কারণে অত্যাধিক পরিমাণে চুল পড়ে।
১২. মানসিকভাবে আপনি কখনো চাপে থাকবেন না।
মানসিক চাপ কমানোর জন্যে মেডিটেশন ও
যোগব্যায়াম করতে পারেন।
মানসিক চাপ কমানোর জন্যে মেডিটেশন ও
যোগব্যায়াম করতে পারেন।
১৩. প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম
করতে হবে। এজন্য সাঁতার কাটতে পারেন
অথবা হাঁটাহাটি করতে পারেন। ব্যায়াম
করলে হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক থাকে।
করতে হবে। এজন্য সাঁতার কাটতে পারেন
অথবা হাঁটাহাটি করতে পারেন। ব্যায়াম
করলে হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক থাকে।
১৪. অনেককে দেখা যায়, চুল শুকানোর
জন্যে বা চুলে স্টাইল করার জন্যে অনেকেই চুলে হিট
দিয়ে থাকে। এ থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
জন্যে বা চুলে স্টাইল করার জন্যে অনেকেই চুলে হিট
দিয়ে থাকে। এ থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
১৫. চুল যাতে ঘেমে ভিজে না যায় বা ঘেমে গেলেও
যাতে বেশি সময় না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল
রাখতে হবে।
যাতে বেশি সময় না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল
রাখতে হবে।
১৬. যদি বেশি পরিমাণে চুল
পড়তে থাকে তাহলে অবশ্যই সব সময়
মাথা আলগা রাখবেন। বেশি ঢেকে রাখার
চেষ্টা করবেন না।
পড়তে থাকে তাহলে অবশ্যই সব সময়
মাথা আলগা রাখবেন। বেশি ঢেকে রাখার
চেষ্টা করবেন না।
১৭. সবসময় শরীরের যত্ন নিন। শরীরের অন্যান্য
অঙ্গের সাথে চুলের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে।
শরীর দুর্বলতা বা দীর্ঘ সময়ের
জন্যে জ্বরে ভুগলে তার প্রভাব চুলের ওপর পড়তে পারে।
অঙ্গের সাথে চুলের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে।
শরীর দুর্বলতা বা দীর্ঘ সময়ের
জন্যে জ্বরে ভুগলে তার প্রভাব চুলের ওপর পড়তে পারে।
১৮. অনেক সময় দেখা যায়, কোনো রোগের
কারণে ঔষধ খেলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়ে যায়। এজন্য ঔষধ নেয়ার সময়
অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে হবে।
কারণে ঔষধ খেলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়ে যায়। এজন্য ঔষধ নেয়ার সময়
অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে হবে।
১৯. বর্তমান সময়ে অনেকে চুলে কালার (রং) করে থাকে। এটিও চুল পড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে।
ভূমিকা পালন করে।
২০. সর্বশেষ পরামর্শ হচ্ছে নিয়মিত চিকিৎসকের
সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। কারণ শরীরের
অন্যান্য অঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়লে তা চুলের ওপর
প্রভাব ফেলে।
চুল মানুষের সৌন্দর্যের প্রতীক। এজন্য নিয়মিত
শরীরের খোঁজ খবর রাখতে হবে। তা না হলে নিজের
অজান্তেই মাথার চুল হারিয়ে যেতে পারে।
সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। কারণ শরীরের
অন্যান্য অঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়লে তা চুলের ওপর
প্রভাব ফেলে।
চুল মানুষের সৌন্দর্যের প্রতীক। এজন্য নিয়মিত
শরীরের খোঁজ খবর রাখতে হবে। তা না হলে নিজের
অজান্তেই মাথার চুল হারিয়ে যেতে পারে।