• Latest News

    2G,3G ও 4G এর মাঝে পার্থক্য কি?


    কিছুদিন হল আমাদের দেশে সকল মোবাইল অপারেটর-রা 3G নিয়ে খুব বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। আগে আমরা 2G ব্যবহার করতাম। এই 2G এবং 3G র মধ্যে পার্থক্য-টা কি?? আসুন জেনে নিই

    1G::
    1G হল First Generation Of Cellular Systems যা 1980 সালে আবিষ্কার করা হয় । যার সর্বোচ্চ স্পীড ছিল 14.4kb/s । এটাতে Circuit Data ব্যবহার করা হত। এই 1G নেটওয়ার্ক দিয়ে শুধু Voice Call করা যেত। কিন্তু কোনো SMS করা যেত না এবং Internet ব্যবহার করা যেত না। 1G নেটওয়ার্ক যেসব Standard Follow করে তা হল-
    -AMPS (Advanced Mobile Phone System), used in USA
    -NMT (Nordic Mobile Telephone)
    -TACS (Total Access Communications System),used in UK


    2G::
    1G নেটওয়ার্ককে 1990 সালে আরো একটু উন্নত করা হয় এবং নাম দেওয়া হয় 2G(Second Generation)। এটার সর্বোচ্চ স্পীড ছিল 144kb/s । 2G-র অন্যতম বড় বৈশিষ্ট্য ছিল যে এই নেটওয়ার্ক-র সাহায্যে Voice Call এর পাশাপাশি SMS পাঠানো যেত এবং Internet ব্যবহার করা যেত । 2G নেটওয়ার্ক যেসব Standard Follow করে তা হল-
    - GSM (2G)
    - CDMA
    - TDMA
    আর 2.5G তে Circuit Data-র পরিবর্তে Packet Data ব্যবহার করা হয়।যার দরুন GPRS ব্যবহার করা যায়। আর 2.7G তে EDGE (Enhanced Data Rates for GSM Evolution) ব্যবহার করা যায়। 2.7G তে 200kb/s পর্যন্ত স্পীড উঠে। 


    3G::
    3G হল Third Generation Cellular System(digital broadband exclusively packet data). এটার সর্বোচ্চ স্পীড হল 200kb/s - 1mb/s । 3G-র বড় বৈশিষ্ট্য হল যে এটার সাহায্যে Video Conference করা যায় এবং Internet স্পীড আগের চেয়ে অনেক বেশি। 3G নেটওয়ার্ক যেসব Standard Follow করে তা হল-
    - UMTS (Universal Mobile Telecommunications System), CDMA2000, EDGE…
    আর 3.5G তে Internet স্পীড হল 2mb/s। 3.5G নেটওয়ার্ক যেসব Standard Follow করে তা হল- 
    HSPA (High Speed Packet Access), shorter Transmission Time Interval (TTI),
    আর 3.7G তে Internet স্পীড হল 1.4mb/s-5.8mb/s এবং এটা যেসব Standard Follow করে তা হল-
    HSPUA (High Speed Uplink Packet Access)


    4G::

    4G হল Fourth Generation Cellular System(ultra broadband anywhere and anytime, ALL IP, Very high Speed). এটা সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পন্ন নেটওয়ার্ক । যার স্পীড হল 100mb/s To Gb/s. এটা 3G থেকে অনেক অনেক বেশি স্পীড সম্পন্ন ।আর 3G থেকে অনেক অনেক বেশি স্পীড হওয়ার কারনে 4G দিয়ে High Quality Television দেখা যায়। । । । ।


    এখানে G বলতে Generation বা প্রজন্ম বুঝানো হয় ।

    2G
     : এটি দ্বিতীয় প্রজন্মের তার বিহীন নেটওয়ার্ক । এই ব্যবস্থাতে ডিজিটাল তারবিহীন মোবাইল যোগাযোগের ক্ষেত্রে 28.8 Kbps হারে তথ্য আদানপ্রদান সঙ্ক্রান্ত সেবা দেয়া সম্ভব হয় । ১৯৯১ সালে ফিনল্যান্ডের রেডিওলিনজা নামক একটি GSM অপারেটর সর্বপ্রথম ব্যাবসায়িকভাবে এবং GSMস্টেন্ডার্ডে 2G তারবিহীন নেটওয়ার্ক চালু করেছিল । তখনকার এধরনের অন্যান্য বিদ্যমান প্রযুক্তি অপেক্ষা 2G তিনটি দিক দিয়ে এগিয়ে ছিলো । এ বাড়তি সুবিধাগুলো হলো :
    • 2G প্রযুক্তিতে ফোনে নিরাপদভাবে কথাবার্তা বলার জন্য সম্পূর্ণরূপে এনক্রিপশনের ব্যাবস্থা ছিলো ।
    • তরঙ্গ বর্ণালি ব্যবহারের ক্ষেত্রে 2G অন্যান্য প্রযুক্তি অপেক্ষা অনেক বেশি কর্মদক্ষ ছিলো ।
    •  2G এর মাধ্যমে SMS এর মতো বিভিন্ন রকম তথ্যও প্রেরণ করা যেতো ।
    2G চালু হওয়ার পূর্বের বিদ্যমান মোবাইল টেলিফোন সিস্টেমকে ইতিহাস হিসেবে 1G হিসেবে উপাধি দিয়ে দেওয়া হয় । 1G নেটওয়ার্কে রেডিও সিগনাল ছিল অ্যানালগ; অন্যদিকে 2G নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়েছিল ডিজিটাল পদ্ধতি । তবে তখন উভয় নেটওয়ার্কই রেডিও টাওয়ারের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রেডিজিটাল সিগনাল ব্যবহার করতো ।

    3G : এটি হলো তৃতীয় প্রজন্মের তারবিহীন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি । এই প্রযুক্তিতে ন্যূনতম 500 Kbpsথেকে সর্বোচ্চ 3 Mbps হারে তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব । এটি আগের সকল তারবিহীন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিগুলোর চেয়ে অধিক গতিসম্পন্ন এবং উন্নত । 3G নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে 2G নেটওয়ার্কেরসুবিধাসমূহের পাশাপাশি আরও কিছু সুবিধা উপভোগ করা যায় । যার মধ্যে রয়েছে দ্রুত গতির ইন্টারনেট, ভিডিও কল এবং মোবাইল টিভি 

    3.5G  : এই নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে 3 Mbps থেকে 14 Mbps পর্যন্ত গতি পাওয়া সম্ভব ।

    4G : ২০০৮ সালের মার্চে ITU (International Telecommunication Union) এর বেতার যোগাযোগ সেক্টর4G এর প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তুসমূহের একটি রূপরেখা প্রবর্তন করে । তারা উচ্চ মোবিলিটি যোগাযোগের জন্য 100 Mbps এবং নিম্ন মোবিলিটি যোগাযোগের জন্য 1 Gbps গতি প্রণয়ন করে । মোবাইল WiMaxএবং LTE-এর প্রথম অবমুক্তির পর থেকে যেসব সেবা 1 Gbps এর কম গতি প্রদান করে, ITU এর নীতি অনুযায়ী সেগুলোকে 4G সেবা বলা যাবে না, যদিও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সেগুলোকে 4G সেবা বলেই বাজারজাত করে ।

    এককথায়, 2G, 3G, 3.5G, 4G এর মধ্যে মূল পার্থক্য এদের গতিতে ।
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments
    Item Reviewed: 2G,3G ও 4G এর মাঝে পার্থক্য কি? Rating: 5 Reviewed By: JKL
    Scroll to Top